বইয়ের বিবরণ
আমি যুদ্ধে চলে যাচ্ছি। তোমাদের বললে তোমরা কিছুতেই রাজি হতে না। তাই না বলেই গেলাম। ২৫ মার্চ রাতে আমি নিজের চোখে মারা যেতে দেখেছি বাবুর আব্বাকে। দেখেছি, জগন্নাথ হলের মাঠে কীভাবে ছাত্রদের লাশ পড়ে ছিল। কীভাবে বস্তিতে আগুন দিয়ে বাচ্চা ছেলেমেয়েদেরও পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এরপর আর ঘরে থাকার কোনো মানে হয় না। তোমরা শান্ত থাকবে। এই চিঠি পুড়িয়ে ফেলবে। আমার জন্য দোয়া করবে। তমাল ও বন্যাকে আদর জানাবে। তোমাদের জন্য আমি দোয়া করব। যদি বাঁচি, ইনশা আল্লাহ দেশ স্বাধীন করেই ফিরব। তখন যদি বেঁচে থাকি, তাহলে দেখা হবে।
বাদল, মাহবুব আর বাবু—তিন কিশোর। বাদল আর মাহবুব স্কুলে পড়ে, থাকে চানখাঁরপুলের সরকারি কোয়ার্টারে। তাদের বাড়ির সামনে একটা দোকানে কাজ করে বাবু। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা যখন ট্যাংক-কামান নিয়ে বাঙালিদের ওপরে ভয়াবহ আক্রমণ চালায়, তখন বাবুর চোখের সামনে মারা যায় তার আব্বা। গুলিবিদ্ধ হয় বাবুও। বাবু সুস্থ হয়ে উঠলে তিন কিশোর সিদ্ধান্ত নেয় পালিয়ে চলে যাবে যুদ্ধে। অবরুদ্ধ ঢাকা থেকে ভারতের আগরতলা—যাত্রাপথে পদে পদে বিপদ। মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং ক্যাম্পে ভয়াবহ কঠোর প্রশিক্ষণ। তারপর সম্মুখযুদ্ধ আর গেরিলা অপারেশন। পাকিস্তানি সৈন্যদের দখলে থাকা একটা রেলস্টেশন শত্রুমুক্ত করতে তিন কিশোরকে এক ভয়াবহ অভিযানে যেতে হচ্ছে! শ্বাসরুদ্ধকর সেই অভিযানে কী ঘটে শেষ পর্যন্ত?
- শিরোনাম তিন কিশোরের দুঃসাহসিক অভিযান
- লেখক আনিসুল হক
- প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
- আইএসবিএন 9789849632702
- প্রকাশের সাল 2022
- মুদ্রণ 1
- বাঁধাই হার্ডকভার
- পৃষ্ঠা সংখ্যা 86
- দেশ বাংলাদেশ
- ভাষা বাংলা
আলোর উৎস কিংবা ডিভাইসের কারণে বইয়ের প্রকৃত রং কিংবা পরিধি ভিন্ন হতে পারে।